ঢাকা, ৩০ মে ২০১৯ইং (দেশপ্রেম রিপোর্ট): আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ধানের কম বাজার মূল্যের বিষয়ে সরকারের গৃহীত কার্যক্রম নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকার ১০ থেকে ১৫ লাখ টন চাল রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকিমুক্ত রেখে এই চাল রফতানি করা হবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সরকার ১০ থেকে ১৫ লাখ টন চাল রফতানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকিমুক্ত রেখেই এই ১০ থেকে ১৫ লাখ টন চাল রফতানি করা হবে। পাশাপাশি আমাদের লক্ষ্য চাল আমদানী নিরুৎসাহিত করা এবং চাল রপ্তানিকে উৎসাহিত করা।’শ্রমিক সংকট নিরসনে যান্ত্রিকীকরণে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হবে। ইতোমধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে বিগত অর্থবছরের রাজস্ব বাজেট বাবদ বরাদ্দকৃত ভর্তুকি খাতের তিন হাজার কোটি টাকা যান্ত্রিকীকরণ খাতে ব্যয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ মোতাবেক খসড়া প্রকল্প প্রণয়নও করা হয়েছে।’
চাহিদার অতিরিক্ত চাল আমদানি ও তার বড় অংশ মজুদ থাকা এবং এবার অতিরিক্ত উৎপাদনের কারণেই ধানের দাম কমেছে জানিয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, চাহিদার অতিরিক্ত চাল আমদানি ও তার বড় অংশ মজুদ থাকা এবং এবার অতিরিক্ত উৎপাদনের কারণেই ধানের দাম কমেছে। ভবিষ্যতে ধানের ক্রয়মূল্য আগেই নির্ধারণ ও চাষিদের তালিকা করে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা হবে। এ লক্ষ্যে গুদামের ধারণ ক্ষমতা বাড়ানো হবে বলেও জানান তিনি।
সাংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী জানান, ধানসহ কৃষকের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতের লক্ষ্যে চাষিদের সঠিক তালিকা প্রণয়ন করে ফসলের ক্রয়মূল্য অগ্রিম নির্ধারণ করা এবং মৌসুমের শুরুতেই সরাসরি কৃষক পর্যায় থেকে ধান সংগ্রহসহ এমন বেশকিছু দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা সরকার গ্রহণ করেছে।
Leave a Reply